শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
১৯০২ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে অ্যামেরিকার মিশৌরিতে জন্ম নেওয়া ল্যাংস্টোন হিউজ একাধারে কবি, সমাজকর্মি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক ও কলামনিস্ট।
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে চালু হওয়া হারলেম রেনেসাঁর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচিত এ কবির শৈশবে বেড়ে ওঠা নানীর কাছে।
জ্যাজ কবিতার এ পুরোধা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরখানেক কাটালেও প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাঠ শেষ করেন লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর পরে।
ডানবার, স্যান্ডবার্গ, হুইটম্যানে প্রভাবিত এ লেখকের লেখায় সমতার পক্ষে জয়গান, বর্ণবাদ ও অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আফ্রো-অ্যামেরিকান কালচার, হিউমার ও স্পিরিচুয়ালিটি ব্যাপকভাবে ধরা পড়ে। প্রোস্টেইট ক্যান্সারের জটিলতায় তিনি ১৯৬৭ সালের ২২ মে মারা যান।
সে পিছলে যায় অতি দ্রুত লয়ে
ফিরে যায় ঘাসের ভেতরে—
আমাকে দেয় পথের অনুগ্রহ
আমাকে পার হতে দিতে,
তাতে আমি আধেক লজ্জিত
একটি পাথর খুঁজতে
তাকে মেরে ফেলতে।
আমি সেখানে বসে গাইলাম তার
গানগুলো অন্ধকারে।
সে বললো;
‘আমি বুঝি না
শব্দসমূহ’।
আমি বললাম;
‘সেখানে নেই
কোনো শব্দ’।
এমনই নীরবতা
এই পীড়িত কক্ষে
যেখানে বিছানায়
একজন পীড়িত মহিলা দুইজন প্রেমিকের মাঝে শুয়ে আছে-
জীবন ও মৃত্যু,
এবং তিনটাই বেদনার এক চাদরে ঢাকা।
সকালে নগরটি
তার ডানাগুলো মেলে ধরে
বানায় এক গান
পাথরে, যেটি গুঁজন করে।
বিকেলে নগরটি
যায় শয়ন ঘরে
ঝুলিয়ে আলো
তার মাথার ওপরে।
স্বপ্নগুলোতে দৃঢ়ভাবে অটল থাকো
কেননা যদি স্বপ্নগুলো মরে যায়
জীবন হয় এক ভগ্ন-ডানার পাখি
যা উড়তে পারে না।
স্বপ্নগুলোতে দৃঢ়ভাবে অটল থাকো
কেননা যখন স্বপ্নগুলো যায় চলে
তখন জীবন হয় নিস্ফলা মাঠ
তুষারে হিমায়িত।
নিগ্রোরা,
মধুর ও নিরীহ,
বিনীত, নিরহঙ্কার ও দয়ালু:
দিন সচেতন হও
কেননা তারা তাদের মন বদলায়!
বায়ুপ্রবাহ
তুলোর ক্ষেতগুলোতে,
কোমল হাওয়া:
সময় সচেতন হও
কেননা এটা গাছ উপড়ে ফেলে।